সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪

  কাউখালীতে মাসিক আইন শৃংখলা সভায় উত্তেজনা

  পরে শহরে ওসির অপসারণ দাবিতে মিছিল


পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা সভায় আইন শৃংখলার অবনতি নিয়ে থানার ওসি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা কাটি নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। গতকাল রবিবার দুপুরে এমন অবস্থায় মাসিক সমন্বয় সভা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর বিক্ষুব্ধ  জনতা তাৎক্ষণিক উপজেলা পরিষদ সম্মূখ সড়ক হতে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে । বিক্ষুব্ধ জনতা এসময় কাউখালীতে গত একমাসে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য থানার ওসি মো. সুলতান মাহমুদের অপসারণ দাবি করে। মিছিলটি শহরেরর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় মুজিব চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে,গতকাল রবিবার কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে নিয়মিত মাসিক আইন শৃংখলা সভা শুরু হয়। একপর্যায় গত এক মাসে প্রায় ২৪টি চুরি,একটি ডাকাতিসহ মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশী কর্মকা-ের সমলোচনা হয়। সদর ইউপি চেয়ারম্যান ধামিনুর রশীদ মিল্টন থানার ওসিকে দায়ি করে বক্তব্য দিতে শুরু করলে থানার ওসি এর প্রতিবাদ জানায় । এসময় সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরা ওসির আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে তিরস্কার করে। এ নিয়ে দুই পক্ষে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে সভাস্থলে হট্রগোলের বাধে। ওই অবস্থায় ইউএনও সভা মূলতবি ঘোষণা দেন। এরপর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে পৌছলে  ওসি পুলিশ প্রহরায় বের হয়ে যান।
 এর কিছুক্ষণ পর দুপুর একটার দিকে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা থানার ওসির বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ সম্মূখ সড়ক হতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। শেষে শহরের মুজিব চত্বরে ওসির অপসারণ দাবি করে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন,উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহফুজুর রহমান শাওন, সাধারণ সম্পাদক ইউনুস খান, যুগ্ম সম্পাদক মৃদুল আহম্মেদ সুমন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ইউনুস খান, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল কবির গাজী,ব্যবসায়ি পল্টু লাল বসু,জাকারিয়া মহিউদ্দিন ও হুমায়ূন কবির প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা কাউখালী গত এক মাসের আইনশৃংখলা পরিস্থিুিত অবনতির জন্য থানার ওসিকে দায়ি করে তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণের দাবি জানান।
 এ বিষয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভা বয়কট শেষে উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মিঠুর কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান মিঠু এবং কাউখালী সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আমিনুর রশিদ মিল্টন । তারা বলেন,গত এক মাসে কাউখালীতে ২৪টি চুরি,একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া মাদক প্রতিরোধে পুলিশ শোন ব্যবস্থাই নেয়নি। মাসিক আইন শৃংখলা সভায় এ নিয়ে আলোচনা উঠলে ওসি সভায় অসৌজন্য আচরণ করেন। একপর্যায় তিনি সমন্বয় সভায় আ্ইন শৃংখলা সভা মানেন না বলে এখানে কোন জবাব দিবেন না বলে সভার পরিবেশ বিঘিœত করে বের হয়ে যান। এতে সভা মূলতবি হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলামের সাথে মোবাইল যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
 এ বিষয়ে কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো, সুলতান মাহমুদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমাকে আইন শৃংখলা সভায় জনপ্রতিনিধিরা বিধি বহির্ভূত দুব্যবহার করে সভা থেকে বের করে দেয়। পরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে শহরের বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
বর্তমানে কাউখালীতে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বৈরীতায় শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন