বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

প্রতিক বরাদ্দের পর

কাউখালী উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে



পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার দ্বিতীয় দফায় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে  উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এদিকে দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রচার-প্রচারণা জমে উঠছে। প্রার্থীরা দিনরাত ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। চলছে গণসংযোগ, নির্বাচনী সভা-সমাবেশ ও উঠান বৈঠক। পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে এবং তার পে সর্বাত্মকভাবে কাজ করতে চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সভা সমাবেশ। প্রার্থীরা ভোটারদের শোনাচ্ছেন নানা প্রতিশ্রতির বানী। তবে ভোটাররা জানিয়েছেন প্রার্থীদের নানা প্রতিশ্রতি ও মিষ্টি কথায় না ভুলে এবার দেখেশুনে যোগ্য ও সৎ প্রার্থীকে বেছে নেয়ার কথা।  এদিকে বুধবার প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথে চলছে হ্যান্ডবিল বিতরণ ও মাইকে প্রচারণা। গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন হাটবাজার ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় শুরু হয়েছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। নির্বাচনী আমেজ শুরু হওয়ার পাশাপাশি গোটা উপজেলা এখন নির্বাচনী প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে। ব্যস্ততা বেড়েছে প্রিন্টিং প্রেস ও মাইক অপারেটরদের। রিটার্নিং অফিসারের সূত্র মতে কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। প্রার্থী তালিকায় রয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিজেপি, জামায়াত এবং সিপিবি নেতারা। ফলে সব দলের অংশগ্রহণে উপজেলা নির্বাচন জমে উঠবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা। গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর চেয়ারম্যান পদে উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান  এস.এম আহসান কবীর(দোয়াত কলম)  আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইসচেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান পল্টন(কাপ-পিরিচ) , উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আমরাজুড়ী ইউনিয়নের সাবেক  চেয়ারম্যান এডভোকেট এ কে এম আব্দুস শহীদ (ঘোড়া)জাতীয়পার্টির(জেপির) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক  বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবীর তালুকদার রাজু(মোটর সাইকেল)   আবু সাইদ মিয়া (আনারাস),  ইউনাইটেড কমিউনিস্টলীগের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক কমরেড নিমাই মন্ডল(টেলিফোন) ।ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীস্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মো. কামরুজ্জামান মিঠু (তালা), বিএনপি নেতা সাবেক ভিপি শাফিউল আযম দুলাল(চশমা),  জাতীয়পার্টি নেতা নুরুল আমিন (বাল্ব)প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভনেত্রী শাহাজাদী রেবেকা সুলতানা চৈতী(হাঁস)বিএনপির ফাতেমা ইয়ামমিন পপি(পদ্বফুল) পেয়ারু বেগম(ফুটবল) ও স্বতন্ত্র শাহিদা হক(কলস) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সব দলের অংশগ্রহণে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ল্য করা যাচ্ছে। তবে ২৭ ফেব্রুয়ারি বলে দেবে কে হচ্ছেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিজয়ী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন