কাউখালীতে বিএনপি প্রার্থী আহসান কবীর জয়ী
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয়ধাপে বৃহস্পতিবার পিরোজপুরের কাউখালীতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি’র সমর্থিত প্রার্থী এস এম আহসান কবীর (দোয়াত কলম)। ১৩ হাজার ১ শ ৯৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থী আবু সাইদ মিয়া মনু (আনারস)। তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ৭ শ ১৫ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মিঠু (তালা)। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭শ ৬৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি সমর্থিত শাফিউল আযম দুলাল (চশমা)। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৫ শ ৮৩ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোসাঃ ফাতেমা ইয়াসমিন পপি (পদœ ফুল)। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৪ শ ৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত শাহাজাদি রেবেকা চৈতী (হাঁস)। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২ শ ২৯ ভোট। উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ৪৫ ভোট। নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ২ শ ৮৭ জন ভোটার। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ২৭টি ভোট কেন্দ্রে সকাল থেকে ভোটাররা স্বতস্ফূর্ত লাইনে দাড়িয়ে সুশৃংখলভাবে ভোট দেন। আইনশৃংখলা বাহিনীর ব্যাপক সতর্কতার কারনে কোথাও তেমন উল্লেখযোগ্য বিশৃংখলা ঘটেনি। তবে সকাল ১১টার দিকে সদর ইউনিয়নের বদরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কতিপয় উচ্ছৃংখল জনতা বিশৃংখলা চেষ্টা করে। এসময় ওই কেন্দ্রে কিছু সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ ব্যহত হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে উস্থিত হলে বিশৃংখলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে পুনরায় নির্বিঘœ ভোট গ্রহণ চলে। এছাড়া দুপুর ১২টার দিকে হোগলা বেতকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একদল বহিরাগত হঠাৎ ভোট কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করে । এসময় ভোটকেন্দ্র আশপাশে বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিক র্যাবের একটি দল লাঠিচার্জ করে বিশৃংখলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পূর্ব ফলইবুনীয়া সরকারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোলযোগের সৃষ্টি হলে সেখানে একদল বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এছাড়া শিয়ালকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রর বাইরে প্রতিদ্বন্দি এক প্রার্থীর ভোটার ক্যাম্প ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।