কাউখালীর সন্ধ্যা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে কবরস্থান নির্মাণকাজে পুনঃরায় শুরু
!!রবিউল হাসান রবিন!!
পিরোজপুরের একটি
অবহেলিত উপজেলা শহর কাউখালী। এই শহরে পঁচিশ হাজার মানুষের বাস। অথচ কারো মৃত্যুর পর লাশ দাফনের নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। যাদের নিজস্ব জমি নেই, স্বজনদের লাশ দাফনে তাদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। জমির স্বল্পতা ও উচ্চ মূল্যের কারণে নির্ধারিত কবরস্থান গড়তে কারো উদ্যোগও ছিল না।
আর এ সংকট
মোকাবিলায় ২০১২সালে
উদ্যোগ নিয়েছিলেন জনপ্রতিনিধি সদর ইউপি চেয়ারম্যানআমিনুর
রশীদ মিলটন। তাঁর সম্মিলিত উদ্যোগে শামিল হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। সবার স্বেচ্ছাশ্রমে সন্ধ্যার বুকে তৈরি হচ্ছে 'শেষ ঠিকানা'।
সন্ধ্যা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে কবরস্থান গড়ে তুলতে গত ২০১২ সালের২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে দুই শতাধিক ব্যক্তি স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন। এই কাজে অংশ নেন এলাকার জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ।
সন্ধ্যা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে কবরস্থান গড়ে তুলতে গত ২০১২ সালের২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে দুই শতাধিক ব্যক্তি স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন। এই কাজে অংশ নেন এলাকার জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ।
কাউখালী শহরের থানা ভবন থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরেই সন্ধ্যা নদীর চর। সেখানে গত বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি শ্মশানঘাট গড়ে তোলা হয়। পাশেই এক একর চরের জমিজুড়ে এবার গড়ে তোলা হচ্ছেগণকবরস্থান।
প্রায় ২বছর কাজ ব্ন্ধ থাকার পর গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর২০১৪) কবর স্হানের অসমাপ্ত কাজ শুরু হয়েছে। ২৫০ জন শ্রমিক ও স্বেচ্ছাশ্রমে জনসাধারন িএ কাজে অংশ নিয়েছেন। সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমীনুর রশীদ মিল্টন বলেন, 'কবরস্থান নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল। সবার প্রচেষ্টায় সে সংকট মিটে গেছে।'
শুরুর দিন সকালে অল্পসংখ্যক মানুষ নিয়ে মাটি কেটে কবরস্থান ভরাটের কাজ শুরু করা হয়। আস্তে আস্তে আগ্রহী মানুষের অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে। ফলে অনেক মানুষের অংশগ্রহণে এ কাজটি করা সহজ হয়। তিনি বলেন, এ শহরে প্রশস্ত কবরস্থান গড়ে তোলার জমির খুব সংকট। এ সংকট মোচন করে দেয় শহর লাগোয়া সন্ধ্যা নদী। সম্প্রতি এখানে জেগে ওঠে বিশাল চর। সেই চরের এক একর জমিতেই সবার সম্মতিতে কবরস্থান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কাউখালীর সামাজিক উদ্যোক্তা আবদুল লতিফ খসরু বলেন, নানা সংকটে মানুষের সম্মিলিত স্বেচ্ছাশ্রম কমছে। এমনই সময়ে স্বেচ্ছাশ্রমে জনগুরুত্বপূর্ণ কবরস্থান গড়ে তোলা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সমাজ উন্নয়নে এ সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য।
কাউখালী উত্তর বাজার বায়তুন নূর জামে মসজিদের ইমাম মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, 'কবরস্থান মানুষের শেষ ঠিকানা। সেই কবরস্থানের নির্ধারিত জায়গা না থাকা দুর্ভাগ্যজনক। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্দিষ্ট স্থানে কবরস্থান গড়ে তোলা নিঃসন্দেহে একটি মহতী উদ্যোগ।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন