বিধবা ভাতা নিতে এলেন হেমাঙ্গীনি!
একদিকে আর্থিক অনটন আবার অন্যদিকে গ্রামের বাড়ি থেকে উপজেলা
সদরে যাওয়ার যানবাহন নেই।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার আমড়াজুড়ী ইউনিয়নের রোঙাকাঠি
গ্রামের মৃত ব্রজ
নাথ বাওয়ালীর বিধবা স্ত্রী হেমাঙ্গীনি বাওয়ালী (১১০) গতকাল
মঙ্গলবার দুপুরে মেয়ের
জামাইয়ের মাথায় চড়ে কাউখালী উপজেলা সদরে বিধবা ভাতা নিতে আসেন। আসেন পাশ্ববর্তী স্বরূপকাঠি উপজেলার জলাবাড়ি গ্রামের ছোট
মেয়ে জামাইয়ের বাড়ি
থেকে। প্রতি তিন মাস
অন্তর বিধবা ভাতা নিতে এভাবেই ছোট মেয়ের জামাই বিরেন্দ্র চন্দ্রের মাথায় ঝুড়িতে চড়ে কাউখালী সদরের
সোনালী ব্যাংকে আসেন।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার আমড়াজুড়ী ইউনিয়নের রোঙাকাঠি
গ্রামের মৃত ব্রজ
নাথ বাওয়ালীর বিধবা স্ত্রী হেমাঙ্গীনি বাওয়ালী (১১০)গতকাল
মঙ্গলবার দুপুরে মেয়ের
জামাইয়ের মাথায় ঝুড়িতে চড়ে কাউখালী উপজেলা সদরে বিধবা ভাতা নিতে আসেন। আসেন পাশ্ববর্তী স্বরূপকাঠি উপজেলার জলাবাড়ি গ্রামের ছোট
মেয়ে জামাইয়ের বাড়ি
থেকে। প্রতি তিন মাস
অন্তর বিধবা ভাতা নিতে এভাবেই ছোট মেয়ের জামাই বিরেন্দ্র চন্দ্র নিজ শ্বাশুড়িকে মাথায় ঝুড়িতে বহন করে কাউখালী সদরের সোনালী ব্যাংকে নিয়ে আসেন।
বিরেন্দ্র চন্দ্র জানান,তার শ্বশুর ব্রজ নাথ বাওয়ালী গত ১৫ বছর আগে মারা যাওয়ার পর তার শ্বাশুড়ি ভিষণ অসহায় পড়েন। তার কোন ছেলে না
থাকায় তাকে আর দেখারমত
কেউ নাই। তাই তাকে তিনি নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। আমার স্ত্রী ও আমি তাকে দেখা শোনা করি। বয়স বেড়ে যাওয়ায় শ্বাশুড়ি হেমাঙ্গীনি তেমন চলা ফেরা করতে পারেন না। প্রতি তিন মাস অন্তর তার বিধবা তুলতে
কাউখালী সদরে ব্যাংকে যেতে হয়। বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার পথে কোন যান নেই। তাছাড়া গ্রামের রাস্তাঘাটও গাড়ি চলার মত নয়। বাধ্য হয়ে ঝুড়িতে তাকে বহন করে মাথায় নিয়ে কিছু হাট পথ আর কিছু বাসের পথ পাড়ি দিয়ে
ব্যাংকে আসতে হয়।
বীরেন্দ্র বলেন, শ্বাশুড়ির
ছেলে নেই শুধু চার মেয়ে। শ্বাশুড়ি হলেও সে তো আমার মতন। অর্থনৈতিক সংকটে খেয়ে না খেয়ে সংসার চলে । কর্তব্য বল্ইে কোন কষ্ট হয়না। আমার গর্ভধারিনী মা নাই। স্ত্রীর মাই তো এখন আপন মা। তাই মায়রে মাথায় নিয়া হাঁটতে মোর কোন কষ্ট অয় না। মায়রে মাথায় লইয়া হাঁটু সমান কাদা ভাইঙ্গা আইতে কোন কষ্ট ঠেহি না।
আমড়াজুড়ী ইউনিয়নের রোঙাকাঠি গ্রামের ইউপি সদস্য রণজিত কুমার
বলেন, বিধবা হেমাঙ্গীনির স্বামী ১৫ বছর আগে মারা গেলে সে ভিষণ অসহায় হয়ে
পড়েন। সংসারে কোন ছেলে না থাকায় তার ছোট মেয়ে মিনতি
হালদারের বাড়িতে তার আশ্রয় মেলে। তারও খুব অভাবের সংসার। তবু মেয়ে ও মেয়ের
জামাই অসহায় হেমাঙ্গীনিকে দেখাশোনা করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন