বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১

কাউখালীতে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন


 যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণ করছেন পিরোজপুরের কাউখালীর মানুষ। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে উদযাপন করা হয় বিজয়ের ৫০ বছর। মহান বিজয় দিবসের প্রত্যুষে ৫০ বার তোপধ্বনি করা হয়।

দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে কাউখালীবাসী যেমন মেতেছেন বিজয়ের আনন্দে, তেমনি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছেন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের।

বিজয় দিবসের সকাল সাড়ে ৬টায় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে। শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সকাল ৯টায় সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিঞা মনু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা.খালেদা খাতুন রেখা, থানার ওসি বনি আমিন উপস্থিত ছিলেন। পরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। 
বেলা ১১টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা.খালেদা খাতুন রেখার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিঞা মনু, কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বনি আমিন. উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট একেএম আব্দুস শহীদ.বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিদুল ইসলাম দুলাল প্রমূখ।

বিকেল সাড়ে ৪টায় সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। একই স্থানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন উপজেলা চত্বরে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। 

এদিকে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোকসজ্জা করা হয়েছে কাউখালীর সব সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। 

বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১

পিরোজপুরের শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা হলেন কাউখালী ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের শারমিন


প্রতিনিধি,
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ৩নং কাউখালী ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা শারমিন আক্তার জেলায় শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা নির্বাচিত হয়েছেন।
ডিজিটাল সেন্টারের ১১ বছর পূর্তিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ ই- সেবার ক্যাম্পেইন-২০২১ কার্যক্রমের সমাপণি অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা নির্বাচিত হন। বুধবার পিরোজপুরের  জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক  আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জেলার শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা শারমিন আক্তারকে  পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ তুলে দেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনিরা পারভিন সহ জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জেলার সেরার উদ্যোক্তা শারমিন আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশকে বাস্তবে রূপান্তর করতে এটুআই প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো অগ্রনী ভূমিকা রাখছে। ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে তৃণমূল জনগণকে ই-সেবা সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং ডিজিটাল সেন্টারের সেবা গ্রহণে মাসব্যাপি ‘ই- সেবা ক্যাম্পেইন ২০২১’ পালনের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাম্পেইন চলাকালীন কাউখালী ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে ইউনিয়নের যেকোন নাগরিক এ সেবা নিতে পারচ্ছে। তিনি জানান,কম সময়ে, কম খরচে,সহজেই ডিজিটালের সব ধরণের সেবা দেয়া হচ্ছে তৃণমূলের বাতিঘর ডিজিটাল সেন্টারে। কাউখালী ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার নাগরিকদের সবধরনের সেবা প্রদান ও সহযোগিতা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এ কৃতিত্ব। জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন ও কাউখালী ইউনিয়নের নাগরিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। জেলার শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা নির্বাচিত হওয়ার সামনের দিনে আরও ভাল সেবা দিবেন বলে তিনি জানান।

বিজয়ের মাস

                                                                   

             সন্ধ্যা নদী পাড়ে পতাকা মিছিল 


 বিজয়ের মাসকে স্বাগত জানিয়ে পিরোজপুরের কাউখালীতে আজ বুধবার নদীপারে প্রতিবন্ধী স্কুলেল উদ্দ্যেগে উপজেলার আমরাজুড়ি আবাসনের বসবাসরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে পতাকা মিছিলের আয়োজন করা হয়।
 পতাকা ছলটি নদীর এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের স্লোগানে ছিল মুখরিত। এ সময় এলাকাবাসী রাস্তার পাশে পাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ ও অভিনন্দন জানান। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পতাকা হাতে নিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করান ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার। স্বাধীনতার মাসকে স্বাগত জানিয়ে নদীপাড়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আবাসন প্রকল্পের সভাপতি রফিকুল ইসলাম।


 অনুষ্ঠানের আয়োজক আঃ লতিফ খসরু বলেন নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ভ করতে আমার এ আয়োজন। এর ফলে হয়তো শিক্ষার্থীরা কিছুটা লাল সবুজের পতাকার প্রতি পরিচিত হবে এবং দেশকে ভালোবাসবে।