শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯

কাউখালীতে ২ দিনব্যাপী শিশু মেলা শুরু

পিরোজপুরের কাউখালীতে শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম (পঞ্চম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দুই দিনব্যাপী শিশু মেলা শুরু হয়েছে। শনিবার (৩০নভেম্বর) সকাল ১০টায় সরকারি কে,জি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে মেলার উদ্বোধন করেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাকির হোসেন।
 
 এর আগে মেলা উপলক্ষে জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে শহরে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। সরকারি বালক বিদ্যালয় চত্বর থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় মেলাস্থলে গিয়ে শেষ হয়।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা.খালেদা খাতুন রেখা’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাকির হোসেন,উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনু, বরিশাল বিভাগীয় তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল আজম,ঝালকাঠী জেলা তথ্য অফিসার মো. রিয়াদুল ইসলাম,পিরোজপুর জেলা তথ্য অফিসার শেখ মোঃ শহীদুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা তথ্যঅফিসার অনিমেষ কান্তি, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার কিরন চন্দ্র রায় প্র্রমুখ ।

মেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০টি স্টল স্থান পেয়েছে। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এ শিশু মেলা রবিবার শেষ হবে।

শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯

জমে উঠেছে শ্রীগুরু সংঘ কেন্দ্রীয় আশ্রমের রাস উৎসব

রবিউল হাসান রবিন,কাউখালী
পিরোজপুরের কাউখালীতে  শ্রীগুরু সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আশ্রমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ৫ দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব জমে উঠেছে। পুণ্যার্থীদের আগমনে জমজমাট হয়ে উঠেছে উৎসব। রবিবার সমাপনী দিনে গুরুপূজা শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।

শ্রীগুরু সংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীমদ্ দূর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেব এর ১২৮ তম আবির্ভাব তিথি রাসপূর্ণিমায় প্রতিবছর এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচ দিনের এ উৎসবকে ঘিরে দেশ ও বিদেশের লক্ষাধিক পূণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছে। পাশর্^বর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও শ্রীলংকা থেকেও ভক্তবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছে। হাজারো ভক্ত-পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে আশ্রম প্রাঙ্গণ পরিণত হয়েছে মিলনমেলায়।প্রতি বছরই রাস উৎসব উপলক্ষে কাউখালীতে শ্রীগুরু সংঘ কেন্দ্রীয় আশ্রম প্রাঙ্গণে বসে পাঁচদিন ব্যাপী রাসমেলা।
আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক রনঞ্জয় কৃষ্ণ দত্ত জানান, বিশ^ চরাচরের দু:খ বিমোচন, অধর্মের গøানি থেকে রক্ষা ও ধর্ম সংস্থাপণার্থে বিশ^ শান্তি কামনায় ৫দিন ব্যাপী এ উৎসবে ২৪ প্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ও উৎসবকে কেন্দ্র করে এখানে বসে সব ধর্মের মিলন মেলা। হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমনে মেলা হয়ে উঠছে উৎসবমুখর।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছাড়াও বিভিন্ন স¤প্রদায়ের মানুষও উৎসবে দেখতে আসেন বলে জানান আয়োজকরা।
তবে তারা জানালেন, প্রতি বছর দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ রাস উৎসবে যোগ দিলেও এবার দক্ষিনণাঞ্চলে দুর্যোগের কারণে দর্শনার্থীর উপস্থিতি কিছুটা কম।

রাস উৎসব শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানালেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন বলেন, "সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি আছে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে আমরা সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা করেছি।"


উৎসব উপলক্ষে ইতোমধ্যে আশ্রম প্রাঙ্গনে বিশাল এলাকা জুড়ে বসেছে রাস মেলা। নাগরদোলাসহ রকমারি জিনিসের পসরা সাজিয়েছে দোকানিরা। দূর দূরান্ত থেকে দোকানীরা এসেছে এই মেলায়। শীতের গরম কাপড়, শিশুদের বিনোদনেরও অনেক খেলনা সামগ্রীতে জমে উঠেছে এ আনন্দমেলা।




বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৯

কাউখালীতে দুই যুবকের মৃত্যুদন্ড

প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বড় বিড়ালজুড়ি গ্রামের উজ্জ্বল (১৫) নামের এক কিশোরকে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃতদন্ড প্রাপ্ত দুই যুবক হলেন সাহেদ হাওলাদার (৩১) ও লিটন আকন (২৯)। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সাহেদ হাওলাদারের বাড়ি উপজেলার  গোসনতারা গ্রামে। লিটন আকনের বাড়ি একই উপজেলার বড় বিড়ালজুড়ি গ্রামে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, লিটন ও সাহেদ ২০১২ সালের ৮ জুলাই সকালে কিশোর উজ্জ্বলকে বাড়ি  থেকে ডেকে নিয়ে কাউখালী বাজারের দিকে যান। উপজেলার আসপর্দি গ্রামের একটি পানের বরজে নিয়ে তাকে হত্যা করে তার সঙ্গে থাকা ১২ হাজার ৫০০ টাকা ও একটি মুঠোফোন নিয়ে যান তাঁরা। ঘটনার চার দিন পর ১২ জুলাই সকালে স্থানীয়  লোকজন উজ্জ্বলের লাশ দেখতে  পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। উজ্জ্বলের বাবা  ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ওই দিন বাবা সহিদ আকন বাদী হয়ে লিটন আকনকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা করেন।
১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় লিটন আকন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাহেদ হাওলাদার ঘটনার পর থেকে পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি  কৌঁসুলি (এপিপি) জহুরুল ইসলাম। আসামি লিটন আকনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন হিরালাল কুন্ডু।

কাউখালীতে ৫ দিন ব্যাপী রাস উৎসব শুরু

প্রতিনিধি॥
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাঁস পূর্ণিমায় শ্রীশ্রীমদ্ দূর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেব এর ১২৮ তম আবির্ভাবকে ঘিরে পিরোজপুর জেলার কাউখালীতে  শ্রীগুরু সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আশ্রমের ৫ দিন ব্যাপী বাৎসরিক উৎসব বুধবার শুরু হয়েছে।
প্রতিবছর রাসপূর্ণিমায় এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সকালে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের অংশ গ্রহণে  সংঘ পতাকা উত্তোলন শেষে প্রায় দেড় কিলোমিটার ব্যাপী এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা আশ্রম প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে কাউখালী বন্দর প্রদক্ষিন করে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন আশ্রমের কেন্দ্রীয় সভাপতি স্বামী জগন্নাথানন্দ সরস্বতী, সাধারণ সম্পাদক রনঞ্জয় কৃষ্ণ দত্ত,।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) রফিকুল হক, অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নজরুল ইসলাম,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন,জাতীয় পার্টি জেপি’র সাধারন সম্পাদক শাহ আলম নসু,কাউখালী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ মিলটন, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুনীল কুন্ডু, আশ্রমের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ বিপুল কৃষ্ণ ঘোষ প্রমুখ।
উৎসবের প্রচার, তথ্য ও অনুসন্ধান উপকমিটির যুগ্ম আহবায়ক সুব্রত রায় জানান, বিশ^ চরাচরের দু:খ বিমোচন, অধর্মের গ্লানি থেকে রক্ষা ও ধর্ম সংস্থাপণার্থে বিশ^ শান্তি কামনায় ৫ দিন ব্যাপী এ উৎসবে ২৪ প্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সারা দেশের ভক্তবৃন্দসহ জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রায় লক্ষাদিক ভক্ত ও পূন্যার্থীর সমাগম ঘটবে। পাশর্^বর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও শ্রীলংকা থেকেও ভক্তবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে সমবেত হবেন। এ আশ্রমের সেবামূলক অনেক কার্যক্রম রয়েছে। এর মধ্যে মন্দিরভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, দাতব্য চিকিৎসালয়ের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাদান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দারা বিনামূল্যে বিশেষ চক্ষু চিকিৎসা শিবির পরিচালনা, সুরেন্দ্রনাথ দে স্মৃতি পাঠাগার পরিচালনা ও দৈনিক দরিদ্র নারায়ন সেবা অন্যতম।
এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মংগল আরতি, শ্রীমদ্ভাগবদ গীতা ও গুরুগীতা পাঠ, বস্ত্র বিতরণ, শিক্ষা উপকরন বিতরণ, সরকারি হাসপাতালে দু:স্থ রোগীদের মধ্যে ফল বিতরণ, সান্ধ্যকালীন প্রর্থনা, ধর্ম সভা ও গীতি আলেখ্য ইত্যাদি। ১৭ নভেম্বর সমাপনী দিনে গুরুপূজা শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।