কাউখালীতে এ বছর ৩৬টি পূজামন্ডপে উদযাপন করা হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে মন্ডপে চলছে শেষ
মুহূর্তের প্রস্তুতি। কাউখালীর বিভিন্ন পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে,
ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে প্রতিমা তৈরির কাজ। বাকি রয়েছে প্রতিমার সাজসজ্জা।
উপজেলার মদনমোহন আখড়াবাড়ীর পূজামন্ডপে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরি করে
তাতে রং দেওয়া হয়েছে। এরপর রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমাকে তার নিজ রূপ দেওয়ার
কাজ শেষে পোশাক পরিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করার কাজ চলছে। বাংলাদেশ পূজা
উদযাপন পরিষদ কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি উপাধ্যক্ষ সঞ্জিত কুমার সাহা
বলেন, পূজার প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। উপজেলার সকল সার্বজনীন পূজামন্ডপের
জন্য সরকারিভাবে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ এসেছে।
এ ছাড়া জেপি’র
চেয়ারম্যান এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু উপজেলার ৩৬ টি পূজা
মন্ডপে ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান প্রদান করেছেন । তিনি আরো জানান,
কাউখালী আখড়া বাড়ীর পূজা মন্ডপ জেলার প্রথম স্থানে থাকবে।
কাউখালী মদনমোহন
আখড়াবাড়ীর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক পল্টু লাল বসু বলেন, এ বছর
প্রতিমা তৈরির খরচ বেশি। আমাদের মন্ডপে প্রতিমা তৈরিতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৫০
হাজার টাকায়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কাউখালী উপজেলা শাখার
সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখর চন্দ্র দে জানান, কাউখালী উপজেলায় এ বছর
৩৬টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। যার মধ্যে কাউখালী সদরে ৭টি,
আমরাজুরি ইউনিয়নে ১৪টি, সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নে ৭টি, চিরাপারা পার-সাতুরিয়া
ইউনিয়নে ৭টি, শিয়ালকাঠী ইউনিয়নে ১ টি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
(ভারপ্রাপ্ত) মাধবী রায় জানান, কাউখালী উপজেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে
দুর্গাপূজা উদযাপানে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
আইন শৃঙ্খলা সহ নিরাপত্তা রক্ষায় বিভিন্ন এলাকায় তিন স্থরের নিরাপত্তা
ব্যবস্থা রাখবে প্রশাসন।