কাউখালীতে যুবকের লাশের পরিচয় মিলেছে, আটক চার
কাউখালী উপজেলায় উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত যুবকের লাশের পরিচয় মিলেছে। এ হত্যাকান্ডে জড়িত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত যুবক নাজিরপুর উপজেলার বুইচাকাঠী গ্রামের মোঃ আবদুল এর ছেলে মিজানুর রহমান মানিক(২৫)।নিহত মানিক নাজিরপুরের ভ্যান চালক ছিলেন।শুক্রবার(২১জুলাই)বিকেলে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত চারজন আসামীকে পিরোজপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক এর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবান বন্দি দেয়ার জন্য নেয়া হয়েছে ।
পুলিশ জানায়,ব্যাটারি চালিত ভ্যান আত্মসাতের জন্যই ঘাতকরা মানিককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ কাউখালীর চিড়াপাড়া গ্রামের একটি পানের বরজের পাশের নালায় ফেলে রাখে। গত রবিবার(১৬জুলাই) বিকালে পুলিশ নিহত ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, নাজিরপুরের ছোট বুইচাকাঠী গ্রামের আকরাম মোল্লার ছেলে সাইদুর রহমান ওরফে সাইফুল(২৬), কাউখালীর উপজেলার ডুমুজড়ি গ্রামের শাহজাহান শেখের ছেলে মো. জামাল শেখ(২২), চিড়াপাড়া গ্রামের মনোরঞ্জন দেবনাথের ছেলে সঞ্জয় দেবনাথ(৪২) ও একই গ্রামের সুশীল চন্দ্র দাসের ছেলে পল্টু চন্দ্র দাস(২২)।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান জানান,উপজেলার বুইচা কাঠী গ্রামের মানিক নামে এক যবককে ৫দিন ধরে নিখোঁজ এর অভিযোগ করে গত ১৮ জুলাই মঙ্গলবার তার পিতা আব্দূল থানায় জিডি করে।পরে ওই গ্রামের সাইফুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে মানিককে কাউখালীতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। পরে সাইফুলকে কাউখালী থানায় প্রেরন করা হয়।সেখানে গিয়ে মানিকের পিতা লাশের ছবি এবং পড়নের গেজিও লুঙ্গি দেখে লাশ সনাক্ত করে।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ও,সি)মো. মনিরুজ্জামান জানান,মানিকের ভ্যানগাড়ি আত্মসাতের জন্য ছাইদুল মোল্লা ওরফে সাইফুল ভ্যান বিক্রি করার কথা বলে কৌশলে কাউখালীতে নিয়ে আসে। সাইদুল পরবর্তীতে তার শ্যালক জামাল শেখ এবং তার সহযোগিতায় সঞ্জয় ও পল্টু মিলে হত্যার পরিকল্পনা করে। ১৪ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে সাতটার সময় রবি মন্ডল এর পানের বরজের ভেতরে নিয়ে ধারালে চাকু দিয়ে গলা কেটে ভ্যানচালক মিজানুর রহমান মানিককে হত্যার পর লাশ সেখানে একটি নালার মধ্যে ফেলে রাখে। এ ঘটনার দুইদিন পর গত ১৬ জুলাই রবিবার গ্রামবাসিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে নিহত ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার করে।
আসামীদের স্বীকারোক্তিতে হত্যায় ব্যবহত একটি ছুরি এবং নিহত মানিকের ভ্যান গাড়ি আসামী সাইফুল নেছারাবাদ থানার পূর্ব জলাবাড়ী এলাকায় ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে তা উদ্ধার করা করা হয়।