কাউখালীতে ভাঙন রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
পিরোজপুরের কাউখালীরসন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী সোনাকুর গ্রামে শুক্রবার সকালে ঐতিহ্যবাহী ‘মৃৎ শিল্পের গ্রাম’ হিসেবে খ্যাত সোনাকুর গ্রামের ভাঙন কবলিত পালপাড়ায় নদীভাঙনে বিপন্ন গ্রামবাসির উদ্যোগে নদী তীরে
ব্যাতিক্রমী মানব বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কাউখালী উন্নয়ন পরিষদ ও সোনাকুর গ্রামবাসির উদ্যোগে
শুক্রবার সকাল ১০ টায় ভাঙন কবলিত নদী তীরে এ মানবন্ধন
অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মানব বন্ধনে সোনাকুর গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে কাউখালী উন্নয়ন
পরিষদের সভাপতি ও সামাজিক উদ্যোক্তা
আব্দুল লতিফ খসরুর সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন, ইউপি সদস্য ইন্দ্র চন্দ্র কৃ-ু, মৎস্যজিবি সমিতির সভাপতি জাতীয়পাটির(জেপি) নেতা আঃ
ওয়াদুদ ও অধিবাসি আঃ ছালাম প্রমূখ। সমাবেশে বক্তারা সন্ধ্যা নদীর
তীব্র ভাঙন হতে ঐতিহ্যবাহী সোনাকুর গ্রাম রক্ষার দাবি জানান। এসময় বক্তারা সোনাকুরের নদী ভাঙনে বিপন্ন ঐতিহ্যবাহী পাল পাড়া রক্ষা ও ভাঙনে নিঃস্ব মৃৎশিল্পীদেও পূনর্বাসনের
দাবি জানান।
চেয়ারম্যান কৃষ্ণ লাল গুহ জানান, গত ত্রিশ বছরে ওই সকল গ্রামের অন্তত ২০ হাজার পরিবারের বসত বাটি, ফসলী জমি, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা
উত্তাল নদে বিলীন হয়ে গেছে। এখনও হুমকীর মুখে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ভ’মি অফিস, আশোয়া সরকারি প্রাথমিক অফিস, আমরাজুড়ি বাজার, দত্তের হাট, খাদ্য গুদাম ও গন্ধর্ব জানকীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
প্রসঙ্গত এককালে কাউখালীর
সোনাকুর গ্রামের মাটির বাসন-কোষন গোটা উপকুেলরে
মানুষের কাছে বেশ কদরের ছিল। মাটির কাজ নিয়ে কোলাহলে মুখর ছিল গোটা গ্রাম। যুগযুগ ধরে সন্ধ্যা নদী ভাঙনে মৃৎপাড়াটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীর ভাঙনে নিঃস্ব মৃৎশিল্পীরা জীবন বাঁচাতে যে যেখানে পেড়েছে আশ্রয় নিয়েছে। প্রায় দুইশত বছরের পুরানো সোনাকুরের এ মৃৎশিল্প। সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গণে বিলীন হওয়ায় মৃৎশিল্পীরা আজ নিঃস্ব
হয়ে পড়েছেন। ভাঙন রোধে এযাবৎ কার্যকর কোন
ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আমড়াজুড়ি ইউনিয়নের সোনাকুর গ্রামের ৯০ বছর বয়সী বিধাবা বিমলা সুন্দরী বলেন,সন্ধ্যা নদী এই রহম ভাঙতে ভাঙতে আমাগো গিলছে। তারপরও কোন কালেই ভাঙন ঠেকানোর কোন ব্যবস্থা হইল না। আগামো এই দশা দ্যাহনের কি কেউ নাই।